ঢাকা ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম :
কলমাকান্দায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত। কলমাকান্দায় ১৬ মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ৩ ধর্মপাশায় টাকার বিনিময়ে বিএনপি’র বিতর্কিত কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন। কলমাকান্দায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত কলমাকান্দায় ভাইকে মৃত দেখিয়ে সম্পত্তি আত্মসাদের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন শোকবার্তা কলমাকান্দায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত নেত্রকোনার কলমাকান্দায় নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বুধবার দুপুরে র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ধর্মপাশায় সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকিতে থানায় জি ডি। সেলবরষ ইউনিয়ন বিএনপির ১নং ওয়ার্ড সম্মেলন অনুষ্ঠিত, কলমাকান্দায় বিএনপি নেতা আনোয়ারুল ইসলাম টুটুনের জানাজা অনুষ্ঠিত।

বাদশাগঞ্জে রাতের আঁধারে ৪ দোকানে চুরি, ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ।

বাদশাগঞ্জে রাতের আঁধারে ৪ দোকানে চুরি, ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ।

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বাদশাগঞ্জ বাজারে রাতের আঁধারে একযোগে চারটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে।আজ ভোররাত (২৫ জুলাই) প্রায় ৩টার দিকে এই চুরির ঘটনা ঘটে, যা এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতা ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মালিকরা হলেন মনিহারি দোকানের মালিক জনাব মোহাম্মদ আলতুমিয়া,জনাব মোহাম্মদ সাইদুর মিয়াএবং জনাব মোহাম্মদ আনো মিয়াএছাড়া চালের আড়তের মালিক জনাব ময়না মিয়া।চোরেরা দোকানের শক্ত শিকল ও তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা ও মূল্যবান পণ্য লুট করে নিয়ে যায়। প্রাথমিক হিসাবে প্রতিটি দোকানে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মালামাল ও টাকার ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছেন মালিকরা।

এ ঘটনায় বাদশাগঞ্জ বাজার ও আশপাশের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বণিক সমিতির হিসাব রক্ষক জামাল মিয়া বলেনগত কয়েক মাসে এখানে ১০ বারও বেশি চুরি হয়েছে। আমরা বারবার থানা ও প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি, পুলিশ টহল বাড়ানোর অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। আমরা এখন সম্পূর্ণ অসহায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় বাদশাগঞ্জ থানায় ঘটনাগুলোর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক ঘটনার তদন্ত চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি আরো বলেন বিযোগ পাওয়া মাত্রই আমি ঐখানে পুলিশ পাঠাই এবং ঘটনার সর্বশেষ আলামত জব্দ করতে সক্ষম হই। তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, চোরেরা প্রায়ই একই পদ্ধতিতে চুড়ির কার্য পরিচালনা করলেও তাদের ধরতে পুলিশের কোনও কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি।

ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, বাজারে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন, নিয়মিত রাতের পুলিশ টহল এবং দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বাজারের সাধারণ দোকানদার থেকে শুরু করে ক্রেতারাও প্রশাসনের জবাবদিহিতা ও নিরাপত্তা জোরদারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।

এলাকায় ক্রমবর্ধমান চুরির ঘটনায় জনমনে নিরাপত্তাহীনতার যে দাবানল সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনে প্রশাসনের জরুরি ও কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:৪৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
১৭০ Time View

বাদশাগঞ্জে রাতের আঁধারে ৪ দোকানে চুরি, ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ।

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

বাদশাগঞ্জে রাতের আঁধারে ৪ দোকানে চুরি, ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ।

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বাদশাগঞ্জ বাজারে রাতের আঁধারে একযোগে চারটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে।আজ ভোররাত (২৫ জুলাই) প্রায় ৩টার দিকে এই চুরির ঘটনা ঘটে, যা এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতা ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মালিকরা হলেন মনিহারি দোকানের মালিক জনাব মোহাম্মদ আলতুমিয়া,জনাব মোহাম্মদ সাইদুর মিয়াএবং জনাব মোহাম্মদ আনো মিয়াএছাড়া চালের আড়তের মালিক জনাব ময়না মিয়া।চোরেরা দোকানের শক্ত শিকল ও তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা ও মূল্যবান পণ্য লুট করে নিয়ে যায়। প্রাথমিক হিসাবে প্রতিটি দোকানে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মালামাল ও টাকার ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছেন মালিকরা।

এ ঘটনায় বাদশাগঞ্জ বাজার ও আশপাশের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বণিক সমিতির হিসাব রক্ষক জামাল মিয়া বলেনগত কয়েক মাসে এখানে ১০ বারও বেশি চুরি হয়েছে। আমরা বারবার থানা ও প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি, পুলিশ টহল বাড়ানোর অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। আমরা এখন সম্পূর্ণ অসহায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় বাদশাগঞ্জ থানায় ঘটনাগুলোর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক ঘটনার তদন্ত চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি আরো বলেন বিযোগ পাওয়া মাত্রই আমি ঐখানে পুলিশ পাঠাই এবং ঘটনার সর্বশেষ আলামত জব্দ করতে সক্ষম হই। তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, চোরেরা প্রায়ই একই পদ্ধতিতে চুড়ির কার্য পরিচালনা করলেও তাদের ধরতে পুলিশের কোনও কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি।

ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, বাজারে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন, নিয়মিত রাতের পুলিশ টহল এবং দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বাজারের সাধারণ দোকানদার থেকে শুরু করে ক্রেতারাও প্রশাসনের জবাবদিহিতা ও নিরাপত্তা জোরদারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।

এলাকায় ক্রমবর্ধমান চুরির ঘটনায় জনমনে নিরাপত্তাহীনতার যে দাবানল সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনে প্রশাসনের জরুরি ও কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।