ধর্মপাশায় ঐতিহ্যবাহী গরুর হাটের রঙ্গিন আমেজ।
ধর্মপাশায় ঐতিহ্যবাহী গরুর হাটের রঙ্গিন আমেজ।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা—ঐতিহ্য আর আবেগে জড়ানো একটি নাম। প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে জমে ওঠে এখানকার ঐতিহ্যবাহী গরুর হাট।
ঈদের মাত্র একদিন আগে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রাণচাঞ্চল্যে মুখর হয়ে ওঠে পুরো হাট এলাকা।
হাটজুড়ে চোখে পড়ে নানা রঙের, নানা আকৃতির গরু। ছোট-বড়, লাল-সাদা, কালো কিংবা ধূসর—প্রতিটি গরুর মধ্যেই যেন একেকটি গল্প।
কেউ এসেছে হাওরের বুক চিরে, কেউ বা এসেছে পাশের কোনো গ্রামের খামার থেকে। হাটে দেখা মেলে স্থানীয় কৃষক ও খামারিদের, যারা বছরের পর বছর ধরে গরু লালন-পালন করে এই হাটে বিক্রি করে থাকেন।
ভাটি এলাকার প্রকৃতিক ঘাস আর বিশুদ্ধ পানিতে পালিত এসব গরু অধিকাংশই রোগমুক্ত এবং প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা। অনেক খামারীই বলেন, “আমরা গরু মোটাতাজা করতে কোনো ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার করি না।
দ শুধু খাঁটি খাবার আর ভালোবাসা দিয়েই গরু বড় করি।”
ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে দরদাম, চলছে পর্যালোচনা। কেউ গরুর দাঁত গুনছেন, কেউ বা পরীক্ষা করছেন তার শক্তি ও গঠন। সবার চোখে মুখে ঈদের আনন্দ আর গরু কেনার উত্তেজনা।
তবে হাটটির ব্যবস্থাপনা নিয়ে কিছু ভিন্ন মত রয়েছে। বাজার কমিটির একজন সদস্য জানান, “এ হাটটি ব্যক্তিমালিকানাধীন। কেউ চাইলে হাটে গরু তুলতে দেয়, আবার কেউ কেউ দেয় না। অনেক সময় তা সমস্যা সৃষ্টি করে।”
তবুও শত সীমাবদ্ধতার মাঝেও ধর্মপাশার গরুর হাট একটি পরিচিত নাম, একটি আস্থার জায়গা। এখানকার গরু মানে বিশুদ্ধতা, ঐতিহ্য আর এক টুকরো ভাটি জনপদের নিঃস্বার্থ শ্রমের ফল।









