ধর্মপাশার পাইকুরাটি ইউনিয়নে বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিরোধ: মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত।
- ধর্মপাশার পাইকুরাটি ইউনিয়নে বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিরোধ: মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত।
সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশের পর তা নিয়ে দলীয় অভ্যন্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও বিরোধ দেখা দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে গাছতলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির একাংশের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, গতকাল ২০ জুলাই ২০২৫ রাত আনুমানিক বারোটায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে ধর্মপাশা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই তালিকায় পাইকুরাটি ইউনিয়নের আহ্বায়ক করা হয় মাহবুব মুর্শেদকে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় মোঃ হারুন-অর-রশীদ সরকারকে। কমিটিতে মোট ১১ জন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
মাহবুব মুর্শেদ পাইকুরাটি ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি যার বিবুদ্ধে গত কয়েক মাস আগে স্বানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠে ।
তবে কমিটি প্রকাশের পরপরই পাইকুরাটি ইউনিয়ন বিএনপির একাংশ কমিটির বিরোধিতা করে রাস্তায় নেমে আসে। তাদের অভিযোগ, ত্যাগী, পরীক্ষিত ও দলের প্রতি আনুগত্যশীল নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে সুবিধাভোগী ও অতীতে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, “৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের যে লক্ষ্য বিএনপি নিয়েছে, সেই আন্দোলনের সঙ্গী হওয়া তো দূরের কথা—যারা অতীতে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের নিয়েই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন পাইকুরাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আমিরুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সাবেক ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মোবারক হোসেন সেলিম।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন,
সাবেক সহ-সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোঃ সবুজ মিয়া,কারাবন্দি নেতা ও সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোখলেছুর রহমান,সাবেক যুবদল নেতা আমিনুল হক নয়ন,বিএনপি নেতৃবৃন্দ নুরুজ্জামান, আমিনুল ইসলাম বাবুল, সফিকুল ইসলাম ও নুরুল আমিন প্রমুখ।
বক্তারা অবিলম্বে কমিটি বিলুপ্ত করে নতুনভাবে ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানান। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দাবি না মানা হলে আন্দোলন চলবে এবং তা আরও জোরদার হবে।
অপরদিকে, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ লিয়াকত আলী সাংবাদিকদের বলেন, “উপজেলা বিএনপির ২১ সদস্যের কমিটির মধ্যে ৫ জনের স্বাক্ষর ক্ষমতা রয়েছে। সবার মতামতের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে সুষ্ঠুভাবে ৬টি ইউনিয়নের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে কোনো অনিয়ম হয়নি।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে দ্রুত সমাধান না হলে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমে ভাঙন ও বিশৃঙ্খলা আরও বাড়তে পারে।









